AkramNadwi

লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অর্থের উত্তরাধিকার।

https://t.me/DrAkramNadwi/6035

بسم الله الرحمن الرحيم.

————-

জামি’আতুল ফালাহ, বিলরিয়াগঞ্জ, আজমগড়ের একজন আলিমা প্রশ্ন করেছেন:

“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। যদি কোনো মুসলিম ভারতে জীবন বিমা (লাইফ ইন্স্যুরেন্স) করিয়ে থাকেন, যেখানে জুয়া ও সুদ—উভয়ই পাওয়া যায়, তাহলে তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশদের জন্য সেই অর্থ ব্যবহার করা হালাল হবে কি?”

উত্তর:
কিছু ফকিহের মতে, ইন্স্যুরেন্স মুবাহ (অনুমোদিত)। তাই তাদের দৃষ্টিতে এই অর্থ ওয়ারিশদের জন্য তেমনই হালাল হবে, যেমনভাবে অন্য সমস্ত বৈধ সম্পত্তি ও সম্পদের উত্তরাধিকার হয়।

আমার মত হলো—ইন্স্যুরেন্সের কেবল সেইসব ধরনই মুবাহ হবে যেগুলোর সত্যিকার প্রয়োজন রয়েছে; যেমন—দাঙ্গার আশঙ্কায় সম্পত্তির ইন্স্যুরেন্স করা, বা কিছু দেশে স্বাস্থ্য ইন্স্যুরেন্স করানো। লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোনো জরুরি প্রয়োজন নেই, তাই এর হারাম হওয়া পূর্বের মতোই বহাল থাকবে।

যে ব্যক্তি লাইফ ইন্স্যুরেন্স করিয়েছে, তার মৃত্যুর পর কেবল সেই অর্থ ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টন করা হবে, যা সে কিস্তি আকারে প্রদান করেছে—কারণ সেটাই তার প্রকৃত সম্পদ।

এই কিস্তির টাকার অতিরিক্ত যে পরিমাণ অর্থ আসবে, তা কেবল তাদেরকেই দেওয়া হবে, যারা গরিব—অর্থাৎ যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয়। এই অর্থ দেওয়ার সময় উত্তরাধিকার অনুসারে অংশ বণ্টনের নিয়ম মানা হবে না, বরং যার দারিদ্র্য যত বেশি, তার বিবেচনায় সেই অর্থ তাকে দেওয়া হবে।

আর যদি ওয়ারিশদের মধ্যে কেউ গরিব না থাকে, তাহলে সেই অতিরিক্ত অর্থ অন্য গরিবদের দেওয়া হবে। তবে এই অর্থ কখনো মসজিদ, মাদরাসা ইত্যাদিতে খরচ করা যাবে না।

——————–

✍ মূল : ড. আকরাম নদভী, অক্সফোর্ড, ইউকে।
✍ অনুবাদ যাচাই ও সম্পাদনা : মাওলানা মারজান আহমদ, সিলেট, বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *