https://t.me/DrAkramNadwi/6188
بسم الله الرحمن الرحيم.
”
(গাজাবাসীর অন্তরের ভাষায় রচিত একটি নিবন্ধ)
——————-
তুমি বলেছিলে: এই পবিত্র ভূমি তারই প্রাপ্য, যে একে সেচেছে পবিত্র রক্ত দিয়ে — যে কখনো আত্মসমর্পণ করে না, মৃত্যুকে ভয় পায় না। আমরা তোমার সামনে নত হয়েছিলাম, তোমার কথাগুলো আমাদের অন্তরে ওহীর মতো দাগ কাটে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে কাঁপিয়ে তোলে, আত্মার গভীরে জ্বালিয়ে দেয় এক অনির্বাণ শিখা।
তুমি আবার বলেছিলে — আমাদের অন্তর ভরিয়ে দিলে ঈমানের উজ্জ্বলতা আর আত্মত্যাগের তীব্র আকাঙ্ক্ষায় —:
“আমার তৃপ্তি তখনই হবে, যখন তোমাদের দেখব তরবারির ছায়াতলে নামাজ পড়ছো; যেখানে নিরাপত্তা শুধুই ঈমানের ঢাল দিয়ে, আর রক্ষা কেবলই নিশ্চিত বিশ্বাসের বর্মে।”
তখন আমরা বলেছিলাম: “তোমার ডাকে সাড়া দিলাম, তোমার নির্দেশকে মাথা পেতে নিলাম।
তোমার সন্তুষ্টি আমাদের কাছে আমাদের প্রাণ থেকেও প্রিয়,
এ দুনিয়ার সব মূল্যবান ও দুর্লভ বস্তু থেকেও তা আমাদের কাছে অধিক মর্যাদার।”
সাত আসমান এবং পৃথিবী ও তার মাঝে যা কিছু আছে, সাক্ষী থাকুক — আমরা তোমার অঙ্গীকারে অটল রয়েছি, যেমন গাছের শিকড় বাতাসে দৃঢ় থাকে, তেমনি আমরা স্থির।
আমরা মৃত্যুর সাথে মোকাবিলা করেছি এমন কপাল নিয়ে, যা শুধু তোমার জন্যই সিজদায় লুটিয়েছে। রকেট আমাদের মাথার উপর বৃষ্টির মতো ঝরছে, তবু আমরা পালাই না, পিছু হটি না। আমরা কুরআন তিলাওয়াত করি আগুনের তাপের মধ্যে, যেমন শান্তির ছায়ায় তিলাওয়াত করা হয়। রুকু-সিজদায় নত হয়ে, যেন আমরা সৃষ্টই হয়েছি রক্তক্ষরণী মাটিতে নামাজের জন্য। আমাদের মসজিদগুলো ধ্বংস হচ্ছে, আমাদের ঘরবাড়ি আমাদের ঘাড়ের উপর ভেঙে পড়ছে, তবু আমরা ভেঙে পড়ি না। আমরা তোমার কাছে ধৈর্যের অঙ্গীকার করেছি, তোমার পথে চলেছি এই জেনে যে, পথের শেষে জান্নাত, আর শাহাদাত হলো সত্যবাদীদের প্রতিশ্রুতি।
আর তুমি বলেছিলে — হে সেই মহিমান্বিত প্রেরক, যিনি আমাদের অন্তরে সংকল্পের চেতনাকে জাগিয়ে তুলেছিলেন, আর আমাদের আত্মায় দৃঢ়তার বৃক্ষ রোপণ করেছিলেন — তুমি দেখতে চেয়েছিলে আমাদের দৃঢ়তা, যখন আমরা তোমার জন্য রোজা রেখেছি। আমরা ইফতার করিনি আরামের জীবনে, বরং করেছি পরীক্ষার তিক্ততায়। আমরা সেহরি করেছি শুধু তোমার নামের পবিত্রতা থেকে, আর তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পান করেছি কেবল তোমার ওপর নির্ভরতার ঝর্ণাধারা থেকে।
সমগ্র সৃষ্টি সাক্ষ্য দিয়েছে, আর ইতিহাস কাঁপে সেই সাক্ষ্যে, যে আমরা তোমার জন্য রোজা রেখেছি — শুধু ভোগ বা খাবার থেকে নয়, বরং সন্দেহ থেকে, পশ্চাৎপসরণ থেকে, আর এমন প্রতিটি বিষয় থেকে যা তোমার মহিমান্বিত চেহারাকে অসন্তুষ্ট করে। আমরা সেহরি করেছি তোমার নামের আলোয়, অবরোধের অন্ধকারে সেইসব নাম উচ্চারণ করে গেছি। আর যখন ধৈর্যের সূর্য অস্ত গেছে, তখন আমরা ইফতার করেছি শুধুই তোমার নামে — যদিও আমাদের পেট ক্ষুধার্ত ছিল, আত্মা ছিল তৃষ্ণার্ত। আমাদের ইফতারে ছিল শুধু একটি প্রশান্ত শ্বাস, যা বের হয়েছে প্রশংসার সাথে, আর একটি অশ্রু, যা মোড়ানো ছিল প্রার্থনার হাতের তালুতে।
খাবার থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি — তা তোমার রিজিকের অভাবে নয়, বরং তোমার শত্রুদের জুলুমের কারণে। আমাদের পানি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে — আকাশ কার্পণ্য করেছে বলে নয়, বরং জমিনে জুলুম এমনভাবে বেড়েছে যে করুণার আলো নিভে গেছে। প্রতিদিন সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আমাদের জানাজা ওঠে, যেন ইফতারের সময়টি তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়, আর মৃত্যু হয়ে গেছে রোজার আরেকটি দরজা। আমরা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছি যেমনটা এসেছিলাম — পবিত্র, তোমারই দিকে ক্ষুধার্ত, তোমার সন্তুষ্টির জন্যই তৃষ্ণার্ত।
আমাদের সংকল্প কখনো দুর্বল হয়নি, আত্মা কখনো ক্লান্ত হয়নি, বরং আমরা আরও গভীর বিশ্বাসে ভরে গেছি — তুমি আমাদের দেখছো, আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ গুনে রাখছো, প্রতিটি নিশ্বাসের হিসাব রাখছো, আর আমাদের শহিদদের গ্রহণ করছো ঠিক তেমনই, যেমন কেউ দীর্ঘ সফর শেষে প্রিয়জনের কাছে ফিরে আসে। আমরা রোজা রেখেছি, প্রাসাদে বসে নয়, দেয়ালের আড়ালে নয়, বরং বোমা আর আগুনের নিচে। সুশোভিত খাবারের টেবিলে নয়, বরং ক্ষতবিক্ষত মাটির বুকে। আমরা নামাজ পড়েছি, চারপাশে যখন রক্ত ঝরছে; তাকবির দিয়েছি, আর আকাশের প্রতিধ্বনি সাক্ষ্য দিয়েছে — আমরা ধৈর্য ধরেছি, আশা করেছি, আর অটল থেকেছি।
তুমি বলেছিলে: “আমার পবিত্র ভূমি তৃষ্ণার্ত— এমন তৃষ্ণা যা বৃষ্টি মেটাতে পারে না, নদীও নিভাতে অক্ষম; একমাত্র তোমাদের পবিত্র রক্তই এই ভূমির জন্য পানি, এই তৃষ্ণার ওষুধ, এই মাটির সঙ্গে করা প্রতিশ্রুতির সত্যিকার প্রমাণ।”
তখন আমরা বলেছিলাম: “শ্রবণ করলাম ও মেনে নিলাম, হে সেই প্রিয় আহবান কারী , যার আহ্বানে হৃদয় কেঁপে ওঠে, যার ইশারায় আত্মা জেগে ওঠে। তাই আমরা আমাদের রক্ত ঢেলে সেচ দিয়েছি তোমার জমিনে—দ্বিধা নয়, ভয় নয়, বরং এ বিশ্বাসে যে এই ভূমি শুধু রক্তের যাকাতেই সিক্ত হয়, আর স্বাধীনতা শুধু বেদনার গর্ভ থেকেই জন্ম নেয়।”
তুমি যেতে বলো খান ইউনুসের শিবিরে— সেখানে শহিদদের নাম এমনভাবে মুখস্থ, যেমন এক জননী জানে তার সন্তানের নাম।
তুমি জিজ্ঞাসা করো সমুদ্রতীরকে, জুহর আদ-দীককে, দেইর আল-বালাহকে, বেইত লাহিয়াকে, বেইত হানুনকে, আর রাফাহকে—যে শহর জখম নিয়ে ঘুমায় আর ভোরে জাগে মাতৃহৃদয়ের বিলাপমাখা জয়ের ধ্বনিতে।
জিজ্ঞেস করো সেই রাস্তাগুলোকে, যেগুলো আমরা রক্ত দিয়ে পাথর বিছিয়ে সাজিয়েছি।
জিজ্ঞেস করো হাসপাতালগুলোকে, যেগুলো কানায় কানায় পূর্ণ আমাদের মৃতদেহে।
জিজ্ঞেস করো সেই সব বিদ্যালয়কে, যেখানে আমরা ত্যাগের অর্থ পড়িয়েছি।
জিজ্ঞেস করো মসজিদগুলোকে, যেগুলো তাকবিরে মুখরিত ছিল যখন আমরা পৃথিবীকে বিদায় জানাচ্ছিলাম সিজদাহতে।
জিজ্ঞেস করো সবকিছু, এমনকি তোমার ও আমাদের শত্রুদেরও—
বলো, আমরা কি প্রতিশ্রুতি ভেঙেছি? আমরা কি পিছিয়ে পড়েছি? আমরা কি নিজের জীবন নিয়ে কার্পণ্য করেছি?”
আর জিজ্ঞেস করো সেই দাম্ভিক অত্যাচারীদের—
তারা তোমাকে বলবে, আমরা প্রাণ ও আত্মা উজাড় করে দিয়েছি,
আর কবরে গেছি যেন এক নববধূ যায় তার বিবাহ উৎসবে।
আমাদের মুখে লেগে ছিল রক্ত—
হ্যাঁ, সেটাই তো সম্মানের রক্ত, মর্যাদার রক্ত,
যে রক্ত অপমান চেনে না, আর কেবল আকাশের দিকেই প্রবাহিত হয়।
আমরা পেছনে ঘুরে পালাইনি,
আমাদের ক্ষত নয় পিঠে—বরং বুকে, গলায়—
সেই সম্মানের স্থানগুলোতে,
যা কেবল তারাই লাভ করে যারা দুনিয়াকে বেচে আখিরাতকে অর্জন করে।
এটাই আমাদের পথ—
তাই আমাদের সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে প্রশ্ন করো সেই জমিনকে,
যেটা আমাদের রক্তে সিক্ত—
সে হাজার মুখের চেয়েও বেশি সত্য কথা বলে।
তুমি বলেছিলে: “তোমরাই কি ইব্রাহীমের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য নও?”
আমরা বললাম: “অবশ্যই, আমরা-ই তার উত্তরসূরি, তার ধর্মে সবচেয়ে বেশি হকদার, আমরা তার অনুসারী, আমরা তার পদচিহ্ন অনুসরণকারী।”
তুমি বললে: “তোমরা কি জানো না, আমি খলীল (ইব্রাহীম)-কে কিছু শব্দে পরীক্ষা করেছিলাম, আর সে তা পূর্ণ করেছিল?”
আমরা বললাম: “জানি, আমরা জানি তিনি প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন, অঙ্গীকার পূরণ করেছেন, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, আর তিনি আল্লাহর জন্য ছিলেন একান্ত নিবেদিত।”
তুমি বললে: “তোমাদের পিতৃপুরুষরা কি নিজেদের আমাকে সঁপে দেয়নি?”
আমরা বললাম: “হ্যাঁ, দিয়েছে।”
তুমি বললে: “সূর্য কি কখনও এমন দৃশ্য দেখেছে, যা তার চেয়ে ভয়ানক—
এক বৃদ্ধ, যিনি তার একমাত্র তরুণ পুত্রকে জবাই করার জন্য ছুরি তোলে,
আর উভয়ে একসঙ্গে নিজেকে সঁপে দেয়?”
আমরা বললাম: “না, আল্লাহর কসম, এমন পরীক্ষার তুলনা হয় না।
ইব্রাহীম তো একজন আদর্শ নেতা, আনুগত্যশীল, সত্যবাদী, আল্লাহর প্রতি অশ্রুসিক্ত হৃদয়ের অধিকারী।
তার আত্মসমর্পণের সমকক্ষ কেউ নেই,
শুধু তারাই তার মতো হতে পারে, যারা তারই পথে চলে, নির্ভরতার পথে।”
তুমি বলেছিলে:
“আমি তোমাদের কাছ থেকে ঠিক তাই চাই, যা আমি ইব্রাহিম (আঃ)-এর কাছ থেকে চেয়েছিলাম।”
আর আমরা কসুর করিনি, দেরিও করিনি।
বরং আমাদের তরুণেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো ঠিক যেমন ইব্রাহিম (আঃ) এগিয়ে গিয়েছিলেন —
তাদের সংকল্প যদি পাহাড়ের ওপর রাখা হতো,
তাহলে তা পাহাড়কে গলিয়ে ফেলতো।
তারা শহীদ হয়েছে সন্তুষ্ট মনে, দৃঢ় পায়ে,
কোনো পরিবর্তন আনে নাই তাদের অঙ্গীকারে।
তারপর তুমি আরও চেয়েছিলে:
তখন আমাদের বয়োবৃদ্ধরা উঠে দাঁড়ালেন —
তাদের চেহারায় ঈমানের প্রশান্তি,
চোখে ফিদার দীপ্তি।
তারা এমন দৃঢ়তায় এগিয়ে এলেন যে শত্রু হতভম্ব হয়ে গেল,
আর অত্যাচারীদের কাঁপিয়ে দিলো।
তারপর তুমি আরও চেয়েছিলে:
তখন আমাদের নারীরাও পিছু হটেনি,
বরং তারা তোমার পথে নিবেদন করল পবিত্র প্রাণ,
সন্তানদের, স্বামীদের, পিতাদের কোরবানি দিলো আল্লাহর নামে।
তাদের সাহস পিছু হটেনি,
বরং আরও গভীর হয়েছে।
তারপর তুমি আরও চেয়েছিলে:
তখন আমাদের শিশুরাও তাদের ছোট ছোট বুক খুলে দিলো তোমার জন্য,
তারা এগিয়ে এল পবিত্র প্রাণ নিয়ে —
যে প্রাণ কোনো পাপ জানে না, কোনো খেলায় লিপ্ত হয়নি।
তারা বলল —
নিষ্পাপ চোখে, পূর্ণ নির্ভরতায়:
“এই তো আমরা, আমাদের কবুল করে নাও।”
প্রতিবার তুমি যত বেশি ডাক দিয়েছ,
আমরাও তত বেশি তোমার প্রতি বিশ্বস্ততা দেখিয়েছি।
তুমি আমাদের আহ্বান করেছ,
আর আমরা এসেছি, ঠিক যেমন ইব্রাহিম (আঃ) ছিলেন একা, তবুও একা ছিলেন একটি জাতির সমান।
আমরাও পরীক্ষার ভিতর দিয়ে গেছি প্রেমিকের মত,
যেমন প্রেমিক বারবার ব্যথায় ফিরে আসে প্রিয়জনের দিকে।
মৃত্যু আমাদের দমিয়ে দিতে পারেনি,
অগ্নি আমাদের ভক্তির আগুন নিভাতে পারেনি।
তুমি বলেছিলে:
“আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করব।”
আর আমরা দুর্বল হইনি, ভুলে যাইনি।
বরং আমরা তোমার স্মরণে এই দুনিয়া ভরিয়ে দিয়েছি।
আমাদের মসজিদগুলো তোমার জিকিরে পরিপূর্ণ,
আমাদের পতাকা তোমার নামেই উড়ছে,
আমাদের মুখগল্পে বারবার উচ্চারিত হয় তোমার নাম —
সুখে-দুঃখে, রুকুতে-সিজদায়, নীরবতায়-কলরবে।
তোমার জিকির আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের চাদর, আমাদের উত্তরাধিকার।
আর তুমি বলেছিলে:
“আমার অঙ্গীকার পূরণ করো, আমি তোমাদের অঙ্গীকার পূরণ করবো।”
তখন আমরা আমাদের হৃদয়ে তাকালাম —
কিছুই আমরা এই অঙ্গীকারের চেয়ে মূল্যবান পাইনি,
এবং প্রতিশ্রুতির চেয়ে বেশি সত্য কিছু দেখিনি।
আমরা তা পূরণ করেছি,
আমাদের পা দৃঢ় রেখেছি,
আমাদের হৃদয়কে স্থির করেছি।
আমরা তোমার পথে এগিয়ে গেছি,
কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতার আশায় নয়,
তোমার সন্তুষ্টিই আমাদের একমাত্র চাওয়া।
কখনোই না! কখনোই আমরা বলব না, “আপনি অঙ্গীকার পূর্ণ করুন, যদি আপনি বিশ্বস্ত হন!” কারণ আল্লাহর চেয়ে অঙ্গীকারে অধিক বিশ্বস্ত কে হতে পারে?
কারো প্রতিশ্রুতি কি আল্লাহর চেয়ে সত্য হতে পারে?
রাজাধিরাজ আল্লাহর চেয়ে বেশি সম্মানিত আর কে আছেন,
যিনি কথা দিলে তা পূরণ করেন,
যিনি প্রতিশ্রুতি দেন, আর কখনো ভঙ্গ করেন না?
আমরা তোমাকে চিনি —
আমরা জানি, তুমি কখনো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না,
তোমার কাছে কোনো অশ্রু অযথা হয়না,
আর কোনো আহত হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস তুচ্ছ হয় না।
আমরা আপনার কাছে সমর্পণ করেছি স্বেচ্ছায়, কোনো বাধ্যবাধকতা বা ভয়ে নয়, বরং ভালোবাসা ও শান্তি নিয়ে। আমরা হাতের আগে হৃদয় উন্মুক্ত করেছি, আপনাকে প্রভু হিসেবে মেনে নিয়েছি। আমরা আপনি ছাড়া কারো ইবাদত করি না, আপনি ছাড়া কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, দুঃখে-সুখে আপনার দিকেই মুখ ফিরাই। আমরা আপনার প্রতি একনিষ্ঠ, আপনার প্রতি অনুগত, এবং আপনার মহিমান্বিত সত্তা ছাড়া আর কিছুই কামনা করি না।
——————–
✍ মূল : ড. আকরাম নদভী, অক্সফোর্ড, ইউকে।
✍ অনুবাদ যাচাই ও সম্পাদনা : মাওলানা মারজান আহমদ, সিলেট, বাংলাদেশ।