AkramNadwi

ভাষা: একটি মানসিক চিহ্ন ❞

https://t.me/DrAkramNadwi/6204

بسم اللّٰہ الرحمٰن الرحیم

——————–

একজন ক্ষুধার্ত মানুষকে জিজ্ঞেস করা হলো: “দুই আর দুই কত হয়?”
সে উত্তর দিল: “চারটা রুটি।”
সে এমন একটি শব্দ নিজের উত্তরে যোগ করল, যা প্রশ্নকর্তার কথায় ছিল না, এমনকি তার মনেও ছিল না।

এর বিপরীতে, যদি কোনো রেস্তোরাঁয় আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়: “আপনার কয়টি রুটি লাগবে?” এবং আপনি বলেন: “দুইটি”, তাহলে আপনার উত্তর থেকে সহজেই বোঝা যাবে যে আপনি দুইটি রুটি চাচ্ছেন। এবং এই বোঝা ঠিকই হবে।

ভাষা একটি ইশারা :

ভাষাবিদদের মতে, ভাষা হচ্ছে একটি “ইশারা”। এই বিষয়ে সবচেয়ে সুচারু ও বিস্তৃত আলোচনা করেছেন ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) তাঁর বিভিন্ন কিতাবে, যেগুলো আধুনিক ভাষাতত্ত্বের অনেক তত্ত্বের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ইশারার অর্থ নির্ভর করে যার দিকে ইশারা করা হচ্ছে সেটি জানা থাকার উপর। ইশারা নিজে নিজে কোনো অর্থ বহন করে না।

একবার আমি দারুল উলুম দেওবন্দে সেখানে শাইখ সানি হজরত মাওলানা আবদুল হক আযমী (রহঃ)-এর কক্ষে দেখা করতে গেলাম। তখন সেখানে তাঁর দুই ছাত্র উপস্থিত ছিলেন। তিনি সামনের আলমারির একটি দিকের প্রতি ইশারা করে একজন ছাত্রকে বললেন: “এই বইটা বের করো।”
সে অন্য একটি বই বের করল।
আবার হুজুর জোর দিয়ে বললেন: “এই বইটা বের করো।”
তবুও সে ভুল করল।
প্রতিবারই সে কাঙ্ক্ষিত বইটা বের করতে ব্যর্থ হলো, আর হুজুরের বিরক্তি বাড়তে থাকল।

এই ছাত্রের ভুলের কারণ ছিল—সে ইশারার মধ্যে যার দিকে ইশারা করা হয়েছে তাকে চিনতে পারছিল না।

“যার দিকে ইশারা করা হয়েছে”—তা কোথায়?

প্রশ্ন হলো, যদি ভাষা একটি ইশারা হয়, তাহলে এর “মুশার ইলাইহ” (যার দিকে ইশারা করা হয়েছে) কোথায়?
মুশার ইলাইহ ভাষা নিজে হতে পারে না, কারণ ইশারা এবং যার দিকে ইশারা করা হচ্ছে—এ দুটি ভিন্ন জিনিস।

অনেকেই মনে করেন যে, অর্থ ভাষার ভেতরেই বসবাস করে।
তারা কোনো বাক্য শুনে বা পড়ে অর্থ খুঁজে পেতে চায় ঠিক ওই বাক্যের মধ্যেই—এবং ভুল করে। কারণ, অর্থ অন্য কোথাও থাকে।

বাক্যের মধ্যে অর্থ খুঁজতে যাওয়া যেন ইশারার মধ্যে মুশার ইলাইহ খুঁজতে যাওয়ার মতো।
এই দুনিয়ায় একে অপরকে ভুলভাবে বোঝার একটি মূল কারণ হলো—আমরা অন্যের লেখনী বা বক্তব্য থেকে তাদের উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করি।

অর্থ থাকে মনে (মানসপটে) :

শব্দের যে বিষয়ের দিকে ইশারা থাকে, সেটা হলো অর্থ। আর এই অর্থ বাহ্যিক জগতে নয়, থাকে মনের ভিতর।
বাহ্যিক জগতে বাস্তবতা (হাকাইক) বিদ্যমান থাকে, কিন্তু অর্থ থাকে মনে।

তবে প্রশ্ন হলো, কার মনে? বক্তার মনে, না শ্রোতার মনে?

এটা প্রায়ই ঘটে যে, শ্রোতারা নিজেদের মনের অর্থকেই ভাষার ইশারিত বিষয় মনে করে ফেলেন।

উপরের ক্ষুধার্ত ব্যক্তির উদাহরণেও, সে দুই আর দুইয়ের ইশারিত অর্থ নিজের মনের মধ্যে খুঁজে নিয়েছিল।

আমি বারবার দেখেছি, মানুষ আমাকে বলে: “আপনি তো সেই কথাটা বলেছেন।”
আমি অবাক হই—এই কথা আমি কবে বলেছি?
যখন খোঁজ নেওয়া হয়, তখন দেখা যায়, সেই শ্রোতা আমার কোনো একটি বাক্য থেকে নিজের মনে একটি অর্থ স্থির করে নিয়েছে।

একবার এক ব্যক্তি আমার উপর রাগ করলেন, এবং তাঁর রাগ ধীরে ধীরে বেড়েই চলল।
আমি অনেক চেষ্টা করে জানলাম, তিনি কেন রেগে আছেন?
অবশেষে তিনি জানালেন যে, আমি তাকে “গরীব” বলেছি।
আমি বললাম, “আপনার কোনো ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কেন আপনাকে গরীব বলব?”
আরও খোঁজ নেওয়ার পর জানা গেল—আমি তাঁর একটি মজার কথায় বলেছিলাম: “আপনি তো আজীব ও গরীব।”
তিনি সেখানে “গরীব” শব্দটিকে দরিদ্র অর্থে নিয়েছিলেন।

ইশারার বিষয় থাকে বক্তার মনে :

সঠিক কথা হলো—ভাষা যে বিষয়ের প্রতি ইশারা করে, সেটা বক্তার মনে থাকে, শ্রোতার মনে নয়।
এটাই معهود ذهنی (মানে: মানসিকভাবে নির্ধারিত চিহ্নিত বিষয়) বলা হয়।

এই কারণেই কথা ও কাজে নিয়ত এবং উদ্দেশ্যের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।

একজন মা ভালোবেসে তার ছেলেকে বলে: “তুই পাগল, তুই দুষ্টু, তুই বোকা।”
আর সেই ছেলে খুশিই হয়, কারণ মায়ের মনে থাকে তাকে কষ্ট দেওয়া নয়, বরং আনন্দ দেওয়া।

এই কারণেই রাসুলুল্লাহ ﷺ- এর এই বাক্য “رغم أنف أبي ذر” (আবু যারের নাক ধুলোয় লাগুক)—এটা শুনে হজরত আবু যার (রা.) খুশিই হতেন এবং আনন্দ নিয়ে অন্যদের বলতেন।
যদিও এই বাক্যের বাইরের অর্থ কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে।

এইভাবেই বুঝা যায়—ভাষা মূলত একটি ইশারা, যার অর্থ বক্তার মনে নির্ধারিত হয়।
তাই কাউকে বোঝার চেষ্টা করতে হলে, তার কথা নয়—তার মনোভাব, প্রেক্ষাপট, এবং উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করতে হয়।

মানসিকভাবে নির্ধারিত বিষয় (معہود ذہنى) বোঝার উপায় :

অনেক কথাই এমন হয় যেগুলোতে বক্তার মানসিক ইঙ্গিত (معہود ذہنى) বোঝা সহজ হয়।
তবে মনে রাখতে হবে, স্পষ্টতা ও অস্পষ্টতা আপেক্ষিক বিষয়; তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
বিশেষ করে, যদি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং সে কথার কারণে বক্তার উপর কোনো অভিযোগ আসার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

প্রায়শ দেখা যায়, বক্তার কথাকে স্পষ্ট ভেবে তার উপর কুফর বা ফাসেক (পাপী) হওয়ার ফতোয়া দেওয়া হয়।
কিন্তু পরে যখন যাচাই করা হয়, তখন দেখা যায়—শ্রোতা যে অর্থ বুঝেছিলেন, বক্তার বক্তব্য সে অর্থ বহনই করত না।

একজন ৫০ বছর বয়সী ইমাম একটি তরুণী মেয়েকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে খোঁপায় রঙ (খেজাব) দেওয়া শুরু করেন।
একজন মুফতি সাহেব এই কাজকে হারাম বলে ঘোষণা করেন এবং মানুষকে ওই ইমামের পেছনে নামাজ না পড়তে বলেন।
বিষয়টি এতদূর গড়ায় যে, ঐ মুফতি সাহেব তাকে কাফির বলেও ফতোয়া দিয়ে বসেন।

যখন কিনা ঐ মুফতি সাহেব ওই ইমামের পাশেই থাকতেন, কিন্তু কখনোই তার উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করেননি।

প্রশ্ন হলো:

একজন শ্রোতা কী করবে যাতে বক্তার মানসিক ইঙ্গিত (معہود ذہنى) বুঝতে ভুল না হয়?

অন্যভাবে বললে—শ্রোতা কীভাবে বক্তার মন “পড়বে”? অথবা তার উদ্দেশ্য কীভাবে বুঝবে?

নিচে অর্থ বা উদ্দেশ্য বোঝার কয়েকটি নির্ভরযোগ্য উপায় তুলে ধরা হলো—

১. বক্তার ব্যাখ্যা

যদি বক্তা উপস্থিত থাকেন, তাহলে সরাসরি তার কাছে জিজ্ঞেস করা উচিত: “আপনার উদ্দেশ্য কী ছিল?”
আর যদি তিনি উপস্থিত না থাকেন, তাহলে খোঁজ নেওয়া উচিত—তিনি কি অন্য কোনো সময়, অন্য কোনো বক্তব্য বা লেখায় নিজে তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে বলেছেন?

যখন বক্তা নিজে ব্যাখ্যা দেন, তখন অন্য সব ব্যাখ্যার সম্ভাবনা বাদ পড়ে যায়, এবং তাঁর ব্যাখ্যাতেই মূল অর্থ নির্ধারিত হয়। এটাকেই তাফসির (تفسير) বলা হয়।

উদাহরণ:
কুরআনে এসেছে:

“فَسَجَدَ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ إِلَّآ إِبْلِيسَ”
(সব ফেরেশতা সিজদা করলো, শুধু ইবলিস ছাড়া।)

এই আয়াত শুধু দেখলে অনেকে মনে করবে, ইবলিসও ফেরেশতার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বাস্তবেও কিছু মানুষ এমন ভ্রান্তি করেছে এবং অদ্ভুত সব ব্যাখ্যার দ্বার খুলে দিয়েছে।

কিন্তু সূরা কাহফ-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে:

“كان من الجن” — ইবলিস ছিল “জিন”দের একজন।

এই আয়াতই আসলে আগের আয়াতের তাফসির বা ব্যাখ্যা।

অনেক সময় খারাপ উদ্দেশ্যসম্পন্ন লোকেরা বক্তার ব্যাখ্যাতেও সন্তুষ্ট হয় না। তারা জোর করে বলে, “তার উদ্দেশ্য আসলে আর কিছু ছিল।” এমনকি বক্তার নিজের কথার মাধ্যমেই তার বিরুদ্ধে যুক্তি তৈরি করতে চায়।

তারা ভুলে যায়—শব্দ ও বাক্য শুধুই ইশারা মাত্র।
সঠিক অর্থ সেইটাই, যা বক্তা নিজে বলেছেন।
সবচেয়ে বেশি যেটা বলা যেতে পারে, তা হলো—বক্তা হয়তো শব্দ ব্যবহারে ভুল করেছেন।

তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে—আদালতের ক্ষেত্রে রায় হয় বাইরের প্রমাণের ভিত্তিতে, কারণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে বক্তার বক্তব্য সন্দেহজনক ধরা হয়।

কিন্তু সাধারণ অবস্থায় বিচারকেন্দ্রিক মানদণ্ড প্রয়োগ করা নির্দিষ্ট একধরনের অন্যায়।
তবুও কিছু লোক নিজেদের “আসমানি গোয়েন্দা” মনে করে বসে, এবং বক্তাকে অপমান, হেয় এবং কষ্ট দেওয়ায় লিপ্ত হয়। তারা ভুলে যায়—এই আচরণই আসল গর্হিত কাজ।

২. বক্তার অভ্যাস বোঝা

দ্বিতীয় উপায় হলো—বক্তার অভ্যাস ও ভাষার ধরন বোঝা।
প্রত্যেক বক্তার ব্যবহারের ধরন আলাদা হয়।

উদাহরণ:

হাদীস বিশারদরা যখন বলেন “فيه نظر” (তাতে সন্দেহ আছে), এটা সাধারণত দুর্বল সমালোচনার স্তরে পড়ে।
কিন্তু ইমাম বুখারী যদি এটা বলেন, তাহলে এর অর্থ হয়ে যায়—ব্যক্তিটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

যখন কোনো ‘নদভী সাইয়্যেদ’ বলেন, তখন সাধারণত বোঝানো হয়—সাইয়্যেদ সুলায়মান নদভীকে।

পরবর্তীকালে হাদীসবিদেরা যখন “হাফিজ” বলেন, বেশিরভাগ সময় বোঝানো হয়—হাফিজ ইবন হজর আসকালানিকে।

মানুষের প্রচলিত ভাষা (عرف) এবং বিশেষজ্ঞদের টার্মিনোলোজি (علمی اصطلاحات) — উভয়ই এই বোঝার পরিধির অন্তর্ভুক্ত।

কুরআনের অনেক আয়াত ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয় কেবল এজন্য যে—আল্লাহর বক্তব্যের ধরন ও অভ্যাস বুঝে পড়া হয়নি। ফলে আয়াতগুলো থেকে এমন সব অর্থ বের করা হয়, যেগুলো আদৌ কুরআনের উদ্দেশ্য নয়।

৩. অন্তর্নিহিত প্রাসঙ্গিকতা (داخلی سیاق) :

অনেক সময় বক্তার বাক্যের ভেতরেই এমন ইঙ্গিত থাকে, যা থেকে তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যায়।

উদাহরণ:
কুরআনে এসেছে:

“فعصى فرعون الرسول”
(ফিরআউন রসূলকে অমান্য করলো।)

কুরআনে “রসূল” শব্দটি কখনো নবী মুহাম্মদ ﷺ, কখনো হযরত ঈসা (আ.), কখনো অন্য নবীদের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
এই আয়াতে “ফিরআউন” থাকায় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে—এখানে “রসূল” বলতে বোঝানো হচ্ছে হযরত মূসা (আ.)-কে।

এটিকে বলা হয়—বক্তব্যের ভিতরের প্রাসঙ্গিকতা বা অন্তর্গত প্রেক্ষাপট।

৪. বাহ্যিক প্রাসঙ্গিকতা (بیرونی سیاق) :

এছাড়াও বক্তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিবেশ থেকেও ইঙ্গিত বোঝার ক্ষেত্রে সাহায্য পাওয়া যায়।

উদাহরণ:
নদওয়াতে হযরত মাওলানা হাবীবুর রহমান সুলতানপুরী (রহ.) কোনো ছাত্রকে রিকশা আনতে বললে, তার মানে হতো—বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নির্দিষ্ট রিকশা আনতে হবে।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষ যখন রিকশা খোঁজে, তখন দেখে—সস্তা হলেই হলো।

এই প্রেক্ষাপটের পার্থক্য বোঝা জরুরি।

কুরআনের বহু আয়াতের সঠিক অর্থ বোঝা নির্ভর করে—

রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর জীবনী (সীরাহ),
সাহাবায়ে কিরামের (রা.) অবস্থা,
এবং তৎকালীন আরব সংস্কৃতি ও সমাজব্যবস্থা জানার ওপর।

বিপরীত অর্থ (مفہوم مخالف):

যদি কেউ বলে— “আমি পরিশ্রমী ছাত্রদের পুরস্কার দেব”, তাহলে কি এর বিপরীত অর্থ— “অপরিশ্রমী ছাত্রদের আমি পুরস্কার দেব না”— এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য হবে?

আলেমদের অধিকাংশ এই বিপরীত অর্থ গ্রহণ করার বিপক্ষে। আর যারা বৈধ মনে করেন, তারা এমন কিছু শর্ত আরোপ করেছেন, যার ফলে এই “বিপরীত অর্থ” গ্রহণের ক্ষেত্র অত্যন্ত সীমিত হয়ে যায়।

অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এই “বিপরীত অর্থ” গ্রহণ করার কারণে।
আপনি যদি কাউকে বলেন, “আমি তোমার কদর করি”, তাহলে সেখানে উপস্থিত অন্যরা মনে করে বসতে পারে— আপনি তাদের কদর করেন না।

একবার ওয়াটসঅ্যাপে এক গ্রুপ থেকে আমার কাছে এমন একটি বার্তা আসে, যেখানে বলা হয়— এক সদস্যের ধারণা, আমি তাকে পছন্দ করি না।
আমি বললাম, “এমনটা কীভাবে হতে পারে, আমি তো তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
উত্তরে বলা হলো— “সম্প্রতি তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছেন, আর আপনি তাতে কোনো মন্তব্য করেননি।”

এধরনের অভিজ্ঞতা আমার বহুবার হয়েছে— আপনি যদি কারো প্রশংসা করেন, তবে কিছু লোক তা নিজেদের অবমূল্যায়ন বা অপমান হিসেবে নেয়।

দুঃখজনকভাবে, জ্ঞানী মানুষের মধ্যেও এই “বিপরীত অর্থ ধরে নেওয়া” দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
অথচ সু-ধারণা পোষণ করা (حسن الظن রাখা) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শিক্ষা, এবং এটি নৈতিকতার একটি প্রাথমিক পাঠ।

——————–

✍ মূল : ড. আকরাম নদভী, অক্সফোর্ড, ইউকে।
✍ অনুবাদ যাচাই ও সম্পাদনা : মাওলানা মারজান আহমদ, সিলেট, বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *