https://t.me/DrAkramNadwi/6057
بسم اللّٰہ الرحمٰن الرحیم
প্রশ্ন:
আমার ভাগনি ডা. রাফেয়া খান একটি প্রশ্ন করেছেন:
আসসালামু আলাইকুম মামু, একটি প্রশ্ন ছিলো , তা হলো —নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করা কি বৈধ?
উত্তর:
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে সম্ভাব্য ক্রেতাদের খোঁজ করা হয় এবং পণ্য বা সেবার বিক্রয়কে উৎসাহিত করা হয়। এই ধরনের ব্যবসায় সাধারণত ব্যক্তিদের উৎসাহিত করা হয় যেন তারা তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্পর্ক (বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং সহকর্মীদের) কাজে লাগিয়ে এই ব্যবসায় যুক্ত করে। এভাবে শুধু পণ্য বিক্রয়ই হয় না, বরং নতুন মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়, যার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে আয় হয়।
কোনও ব্যবসায়িক মডেল বৈধ কি না, তা নির্ভর করে তার মূল কাঠামো, কার্যপ্রণালী এবং নৈতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করার ওপর।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিংকে বৈধ ও হালাল তখনই বলা যাবে, যখন নিচের বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ খেয়াল রাখা হয়:
এমন পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা হয়, যা ভোক্তার জন্য বাস্তব উপকার বয়ে আনে।
আয়ের মূল উৎস শুধু পণ্য বা সেবার বিক্রয় থেকে আসে, নিচের স্তরের লোকজনকে যুক্ত করার মাধ্যমে কমিশন লাভ নয়; অর্থাৎ এর মডেল যেন পিরামিড স্কিমের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ না হয়।
এই ব্যবসায় কোনও ধরনের প্রতারণা, অনিশ্চয়তা (গারার) বা জুয়া (মাইসার) যেন না থাকে।
সারাংশ এই যে,
ইসলামে ব্যবসা শুধু বৈধই নয়, বরং তা উৎসাহিত করা হয়েছে—যদি তা নৈতিক নীতিমালা, ন্যায় ও সাম্য এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হয়।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং যদি শুধুমাত্র মানুষকে যুক্ত করে ও প্রতারণার মাধ্যমে লাভ করার উপায়ে পরিণত হয়, তবে তা শুধু অবৈধই নয়, বরং সমাজে শোষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
——————–
✍ মূল : ড. আকরাম নদভী, অক্সফোর্ড, ইউকে।
✍ অনুবাদ যাচাই ও সম্পাদনা : মাওলানা মারজান আহমদ, সিলেট, বাংলাদেশ।