এই পরিবর্তন শুধু মাধ্যমের বদল নয়, বরং সভ্যতার অবক্ষয়ের প্রতীক
চিঠি লেখা ছিল কেবল যোগাযোগের উপায় নয়; এটি ছিল আমাদের সংস্কৃতির জীবন্ত নিদর্শন—আমাদের ধৈর্য, আমাদের ভালোবাসা এবং মানবিক মর্যাদার প্রতিফলন। চিঠি যখন রওনা হলো বিদায়ের পথে, তখন যেন একসঙ্গে বিদায় নিল এক প্রজন্মের শিক্ষা, ভালোবাসার নিষ্পাপতা আর সম্পর্কের উষ্ণতা।
যদি আজ মওলানা আবুল কালাম আজাদ বেঁচে থাকতেন, হয়তো তিনি এভাবে বলতেন:
“আমরা উন্নতির নামে হারিয়েছি সেই সব কিছু, যা জাতিগুলোকে মহৎ করে তোলে। সময়ের গতি বেড়েছে, কিন্তু সম্পর্কের বন্ধন ছিঁড়ে গেছে। শব্দ রয়ে গেছে, কিন্তু তাদের প্রভাব, তাদের উষ্ণতা, তাদের সুগন্ধ সব মুছে গেছে।”
প্রশ্ন হলো, আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে এসব কীভাবে শোনাব? কিভাবে বোঝাব যে অতীতের প্রতিটি চিঠি ছিল এক একটি প্রদীপ, প্রতিটি পঙ্ক্তি ছিল এক একটি দোয়া, প্রতিটি কাগজ ছিল এক একটি সম্পর্ক—যা কেবল সংবাদ নয়, ভালোবাসা বহন করে আনত।
আমরা যখন চলে যাব, হয়তো তখন কেবল গল্পই থেকে যাবে। আর যদি আমরা সেই গল্পগুলো না বলি, তবে সেগুলোও কবরের মাটির নিচে চিরদিনের জন্য চাপা পড়ে যাবে।
——————–
ক্যাটাগরি : তারিখ, ইসলামি চিন্তাধারা, ভাষা,
—-
✍️ মূল রচনা: ড. মুহাম্মদ আকরাম নাদভী, অক্সফোর্ড
✍️ অনুবাদ, যাচাই ও সম্পাদনা: মাওলানা মারজান আহমদ, সিলেট, বাংলাদেশ
—-
🔗 অনূদিত মূল প্রবন্ধের লিংক: 👇
https://t.me/DrAkramNadwi/6949