بسم الله الرحمن الرحيم
✍️ লেখক: ড. মুহাম্মদ আকরাম নদভী, অক্সফোর্ড
অনুবাদ যাচাই ও সম্পাদনা:
মাওলানা মারজান আহমদ, সিলেট, বাংলাদেশ।
—
প্রশ্ন:
❓ তরুণ ছাত্র ইবরাহিম ইবন উমর খান আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন ইমাম বুখারি তাঁর সহীহে হাদিসে জিবরিল সম্পর্কে তাকদিরের উল্লেখ করেননি?
—
উত্তর:
আমি বললাম: হাদিসে জিবরিল, যেখানে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ধর্মের বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন, এটি বহু সাহাবীর দ্বারা বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে আছেন:
উমর ইবনে আল-খাত্তাব রা., আবু হুরাইরা রা., আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.
আনাস ইবনে মালিক রা.।
তবে কেবল উমর ও আবু হুরাইরার বর্ণনা সহীহ। ইমাম বুখারি এবং মুসলিম উভয়েই আবু হুরাইরার বর্ণনাকে গ্রহণ করেছেন, কিন্তু ইমাম মুসলিম উমরের বর্ণনাও গ্রহণ করেছেন যা বুখারি করেননি। আমি আমার সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
—
মুসলিমের হাদিস:
মুসলিম তাঁর ইমানের কিতাব উমর ইবনুল-খাত্তাবের রা. এর হাদিস দিয়ে শুরু করেছেন, যা তাকদীরে ঈমানের কথা অন্তর্ভুক্ত করে এবং তা নিশ্চিত করে। এই হাদিসকে এই বিষয়ে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ধরা হয়।
—
আবু হুরাইরা রা. এর হাদিস:
আবু হুরাইরা রা. এর হাদিস, যা ইমাম বুখারি ও মুসলিম রহ. উভয়ে গ্রহণ করেছেন, বুখারি এটি উল্লেখ করেছেন তার ইমানের অধ্যায়ে। নবী সা. বলেছেন: “ইমান হলো, আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাবসমূহ, এবং (পরকালে) পুনর্জীবনে বিশ্বাস রাখা।”
—
তাকদিরের উল্লেখ:
আবু হুরাইরা রা. এর হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় তাকদিরের প্রতি বিশ্বাসের উল্লেখ রয়েছে। আল-ইসমাঈলি তার মুসতাখরাজে “তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন” উল্লেখ করেছেন। ইবনে আব্বাস এর বর্ণনায় “তাকদিরের মিষ্টি ও তিক্ততাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে মেনে নেওয়া” হিসেবে এসেছে।
—
সারমর্ম:
✅ আবু হুরাইরা রা. এর হাদিসেও তাকদিরের প্রতি বিশ্বাসের কথা নিশ্চিত, যদিও ইমাম বুখারি তাঁর নির্দিষ্ট সুত্রে এটি উল্লেখ করেননি। ✅ উমর রা. এর হাদিস এ বিষয়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, যা তাকদিরের ওপর সঠিক বিশ্বাসের কথা তুলে ধরা হয়েছে । ইমাম বুখারি তাঁর সহীহের শেষ ভাগে “কিতাবুল কাদর”
—
আল্লাহর প্রশংসা এজন্য, এবং তিনি আমাদেরকে সঠিক বিশ্বাসে পরিচালিত করুন। আমিন।